সারাদেশ
ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত কাপাসিয়ার রনি রিমান্ড শেষে কারাগারে (ভিডিও সহ)

বার্তাবাহক ডেস্ক : রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এক তরুণীকে প্রাইভেটকারে তুলে ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত মাহমুদুল হক রনিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস রিমান্ড শেষে রনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ১১ জুন শুনানি শেষে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মাহমুদুল হক রনি গাজীপুরের কাপাসিয়ার চরসনমানিয়া এলাকার বজলুল হকের ছেলে।
গত ৯ জুন শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে রনি ও তার গাড়িচালককে গণপিটুনি দেয় জনতা। গণপিটুনির একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে চালক ফারুক পালিয়ে গেলেও রনিকে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
শনিবার গভীর রাতেই ঘটনার দুটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন প্রত্যক্ষদর্শী রাফি আহমেদ। তিনি পোস্টে জানান, অফিস থেকে ফেরার সময় মোহাম্মদপুর কলেজগেট সিগন্যালে তার সামনে থাকা গাড়িতে একজন ছেলে ও একজন মেয়েকে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন। গাড়ির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তিনি গাড়িটিকে অনুসরণ করেন। যানজটের কারণে গাড়িটি পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
এ সময় গাড়ির ভেতরের ধস্তাধস্তির ঘটনাটি রাফি আহমেদসহ রাস্তায় থাকা আরও অনেকের নজরে আসে। রাফি আহমেদ তার পোস্টে দাবি করেন, গাড়িটি যানজটে আটকা পড়লে তিনিসহ সাধারণ মানুষ গাড়িটির সামনে গিয়ে দেখেন ছেলেটি মেয়েটিকে ধর্ষণ করছে। গাড়িটির নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো-গ-২৯-৫৪১৪’।
পরে উপস্থিত জনতাকে ওই তরুণীও জানায়, রাস্তা থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করা হচ্ছিল। পরে উপস্থিত জনতা রনি ও তার গাড়ি চালককে বাইরে বের করে গণপিটুনি দেয়।
শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জি জি বিশ্বাস বলেন, ভুক্তভোগী তরুণী রনির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলায় রনির বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এবং তার গাড়িচালক ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ করেন তিনি।
ভিডিও :